আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট): মোংলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ৫দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ দিকে ধর্ষক গ্রেফতার না হওয়ায় উদ্বেগ ও শংকায় রয়েছেন বাদিনীসহ তার পরিবার। মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে ধর্ষিতার পরিবারকে। পুলিশ বলছে, আসামি পলাতক থাকায় তাদের আটক করতে পারছি না। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোংলা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের শেখ রাসেল সড়কের বাসিন্দা মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে হাসান শিকদার (২৬) ও ১নং ওয়ার্ডের মোর্শেদ সড়কের বাসিন্দা মান্নান মাস্টারের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৫) গত ২৮ জুন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ১নং ওয়ার্ডের মোর্শেদ সড়কের জনৈক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বলেন, আমার ভাড়া বাসার পাশেই আমার টেইলার্সে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে অর্ডারের কাপড় চোপড় তৈরি করছিলাম। তখন হাসান ও রফিকুল আমার টেইলার্সে ঢুকে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে। তাদের মারপিটে ডাক চিৎকার করলে মেরে ফেলার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ বেঁধে পাশের ঘরে নিয়ে তারা দুইজনে মিলে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সেই ভিডিও তারা তাদের মোবাইলে ধারণ করে। চলে যাওয়ার সময় সেই ভিডিও আমাকে দেখিয়ে শাসিয়ে যায়, বলে এ ঘটনা কেউকে বললে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করে দেবে।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ (৩৬) পেশায় একজন দর্জি। স্বামীর সংসারের পাশাপাশি দর্জি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন ওই গৃহবধূ ভাড়া বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই থাকতেন। তাদের কোনো সন্তান নেই। ঈদ উপলক্ষে স্বামী গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় সেখানে একাই ছিলেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র জানান, ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক থাকায় তাকে এখনও আটক করতে পারিনি। তবে আসামিদের আটক করার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
