ডেস্ক রিপোর্ট: মাদকাসক্ত স্বামীকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করায় পিতা-মাতাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মিলে বর্তমান স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানিসহ খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্ত্রী পপি রাণী দাস।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্রে এব সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তালার তেরছি গ্রামের সন্তোষ কুমার দাসের মেয়ে পপি রাণী দাস বলেন, ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে যশোর জেলার মহিতোষ বিশ্বাসের ছেলে শোভন বিশ্বাসের সাথে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর ধীরে ধীরে জানতে পারি আমার স্বামী শোভন বিশ্বাস মাদকাসক্ত। নেশা করে প্রায় প্রতিদিন আমাকে মারপিটসহ নির্মম নির্যাতন করতে থাকে। বিষয়টি পিতা-মাতাকে অবগত করলেও পিতা-মাতা বলতেন ধৈর্য ধর সব ঠিক হয়ে যাবে। এভাবে প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও স্বামী শোভন বিশ্বাসের কোনো পরিবর্তন হয়নি, উল্টো নির্যাতন আরো বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু পিতা-মাতাকে জানিয়েও কোনো লাভ না হওয়ায় আমি আত্মহত্যার চেষ্টাও করি। পরে শোভন বিশ্বাসের বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে আসি এবং তাকে তালাক দেই। এর কিছুদিন পর তেরছি গ্রামের দুলাল চন্দ্র দাশের ছেলে উজ্জল কুমার দাশের সাথে আমার সম্পর্ক হয়। সে আমাকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়। উজ্জল কুমার দাশ আজীবন আমার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা সনাতন ধর্মীয় মতে কোর্ট ম্যারেজ করি। বিবাহের পর সুখে শান্তিতেই বর্তমান স্বামী উজ্জল কুমার দাসের বাড়িতে বসবাস করে আসছি। কিন্তু আমার পিতা সন্তোষ কুমার দাশ, মাতা জ্যোৎস্না রাণী দাস, প্রকাশ কুমার দাস, জেটি পূর্ণিমা রাণী দাস, প্রতিবেশী কাকা জয়দেব বিষয়টি মানতে নারাজ এবং কৌশলে আমাকে পুনরায় পূর্বের মাদকাসক্ত স্বামীর ঘরে পাঠাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। যেখানে আমার জীবন নিয়ে সংশয় রয়েছে সেখানে পুনরায় ফিরে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না কিন্তু জানি না কি কারণে তারা এমনটি করছে। আমি তাদের কথায় বর্তমান স্বামীকে ত্যাগ না করায় আমার পিতার নেতৃত্বে উল্লিখিত ব্যক্তিরা আমার বর্তমান স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট, পুলিশ দিয়ে হয়রানি এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের কারণে আমার বর্তমান স্বামীর পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
তিনি বলেন, আমি সুখে শান্তিতে আছি এবং বর্তমান স্বামীর সাথেই সংসার করতে চাই। আমি যেখানে সুখে আছি, সেটি পিতা-মাতার প্রত্যাশা হওয়ার কথা হলেও আমার পিতা-মাতা কেন জানি না সেটি মেনে নিতে পারছে না। আমার জীবন গেলেও ওই মাদকাসক্ত স্বামীর ঘরে আর আমি ফিরে যেতে চাই না। আমি আমার বর্তমান স্বামী এবং তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত পূর্বক যাতে বর্তমান স্বামীকে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি, সেজন্য সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
