মোঃ ওসমান গনি, বেনাপোল (যশোর): যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, পাওনা টাকা সময়মত না দেয়া, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্নভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ১৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত তিন সপ্তাহ আগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ অভিযোগ দায়ের করে তার অনুলিপি সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠান। লিখিত অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান অভিযোগকারীরা।
এদিকে, ১৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাক্ষরিত অভিযোগ গত ১১ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জমা দেয়ার পর নড়েচড়ে বসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল যশোর সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক তদন্তের কাজ শেষ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন অভিযোগকারীদের। তারই ধারাবাহিকতায় ৩ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. আক্তারুজ্জামানসহ তদন্ত টিম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে অভিযোগকারীদের কাছ থেকে পৃথক পৃথকভাবে লিখিত জবানবন্দি নিয়েছেন।
এবিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করি। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনেক উন্নয়ন আমি করেছি। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ছোট-খাটো কোন অপরাধ করলে একটু বকা-ঝকা করেছি এর বেশী কিছু নয়। তাদের ন্যায্য পাওনা কড়ি দিতে হয়ত একটু দেরী হয়েছে। তাই বলে তারা সবাই মিলে সিন্ডিকেট করে আমার বিরুদ্ধে এমন একটা অপমানজনক কাজ করবে তা আমি বুঝতে পারিনি।
অপরদিকে অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে সঠিক হিসাব না দেখাতে পারলেও অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, একটা অভিযোগের সাথে এমন অভিযোগ না দিলে অভিযোগ পূর্ণতা পাই না তাই ওরা আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত টিমের সভাপতি ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের বরাবর যে লিখিত অভিযোগ করেছেন তা তদন্ত করতে এসেছি। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে আমরা সবকিছু বলতে পারব।
