মেহেদী হাসান শিমুল/ মৃত্যুঞ্জয় রায় অপূর্ব: ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন ও ৪৪জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল এক জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আব্দুল কাদের বাচ্চু, আরিফুর রহমান (রঞ্জু) ও রিপন।
এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত অন্যান্যরা হলেন, মোঃ আশরাফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, মোঃ আঃ রাজ্জাক, শেখ তামিম আজাদ মেরিন, রকিব মোল্যা, মোঃ আক্তারুল ইসলাম (সাবেক মেয়র), মোঃ মফিজুল ইসলাম, আঃ মজিদ, অ্যাড. আঃ সামাদ, হাসান আলী, ইয়াছিন আলী, ময়না, আঃ সাত্তার, খালেদ মঞ্জুর রোমেল, মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন সেন্টু, মোঃ মাজহারুল ইসলাম, আঃ মালেক, আঃ রব, জহুরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম গোলাম রসুল, অ্যাড. আঃ সাত্তার, রিংকু, আঃ সামাদ, আলাউদ্দীন, আলতাফ হোসেন, সঞ্জু, নাজমুল হোসেন, শাহাবুদ্দিন, মোঃ সাহেব আলী, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, টাইগার খোকন, রকিব, টলি শহিদুল, কনক, শেখ কামরুল ইসলাম, মোঃ মনিরুল ইসলাম, ইয়াছিন, শেলি, শাহিনুর রহমান, বিদার মোড়ল, মোঃ সোহাগ, মাহাফুজুর মোল্যা ও আঃ গফফার গাজী।
সাতক্ষীরা আদালত সূত্র জানায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের এক ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। যার রায় ঘোষণা করা হলো আজ।
এ মামলার ৫০ জন আসামির মধ্যে দুইজন মৃত্যুবরণ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় ৩৫জন আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাকীরা পলাতক রয়েছেন।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
