ডেস্ক রিপোর্ট: দল ত্যাগ করে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া নেতাদের নিয়ে শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি।
বৃস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় উপজেলা সদরের জে.সি কমপ্লেক্স চত্বর থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে বিএনপি সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
এদিকে, পট পরিবর্তনের পরক্ষণেই আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া নেতাদের নিয়ে মিছিল সমাবেশের ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি’র ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরী হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেসি কমপ্লেক্স এলাকায় জমায়েত হতে থাকে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল শুরুর পূর্ব মুহূর্তে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান সাদেম শতাধিক সমর্থক নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। প্রায় একই সময়ে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী আব্দুর রাজ্জাক, মুজিবর রহমান, আব্দুল আলিমসহ আরও কয়েকজন ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দেন। এসময় সমাবেশ সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দ এসব নেতাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে অভিনন্দন জানান।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক সোলয়ামনা কবীর, ডাকসুর সাবেক নেতা আবু সাঈদ, জহুরুল হক আপ্পু, নুর ইসলামসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিলে অংশ নেয়।
অভিযোগ উঠেছে, এসব নেতা একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর চাচাত ভাই শেখ হেলালের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের বিদায়ের সাথে সাথে পুনরায় বিএনপিতে সুবিধাবাদী এসব নেতার সরব উপস্থিতি ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিক্ষুব্ধ করেছে।
সদরের পাঁচ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক নুর ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের বিদায়ের পরপরই দুঃসময়ে দল ছেড়ে চলে যাওয়া নেতারা সক্রিয় হওয়ায় অনেকে নাখোশ হয়েছেন।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাসুদ হোসেন বলেন, মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও যারা আ’লীগের সাথে ছিল হঠাৎ তারা বিএনপিতে সক্রিয় হয়েছে। এভাবে অনুপ্রবেশকারীরা পুনরায় দলে ভিড়লে আওয়ামী লীগের মত করুন দশা হবে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান কবীর বলেন, আওয়ামী লীগে যোগদানকারীদের বিএনপির মিছিলে অংশ নেয়ার বিষয়টি সভাপতির জানা আছে। তবে এঘটনায় চরম দুঃসময় অতিক্রম নেতাকর্মীরা আশাহত হয়েছে।
এসব বিষয়ে উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, দল ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার পর পুনরায় তারা বিএনপিতে ফিরতে আগ্রহী। লোকজন নিয়ে তারা বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত হওয়ায় বিষয়টি নমনীয়ভাবে দেখা হচ্ছে।
